Job

দুর্নীতি জাতীয় জীবনে সকল উন্নতির অন্তরায়- এ উপর একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।

Created: 2 years ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago
Ans :

২১৩ শব্দ

দুর্নীতি জাতীয় জীবনে সকল উন্নতির অন্তরায়

জাতি, উন্নতি, দুর্নীতি- এ তিনটি শব্দের উচ্চারণের শেষে মিল থাকলেও প্রথমটির জন্য দ্বিতীয়টির যতটা প্রয়োজন, দ্বিতীয়টির জন্য তৃতীয়টি তার চাইতেও বেশি ক্ষতিকর এবং বর্জনীয়। অসৎ বা অবৈধ সুবিধা লাভের জন্য মানুষের পরিচালিত কার্যক্রমের নামকে আমরা ‘দুর্নীতি’ বলে অভিহিত করতে পারি। অপরদিকে, উন্নতি হচ্ছে পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অবস্থার উত্তরণ। সামগ্রিকভাবে, সারাবিশ্বে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, দুর্নীতির জাতীয় উন্নতির অন্তরায়। একদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে, অপরদিকে ব্যাপকে দুর্নীতির ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অন্তরায়। ‘বিশ্বব্যাংক’ নামক এক সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি’ বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে “বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধ করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ - ৩ শতাংশ বেড়ে যেত এবং মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হতো।” দুর্নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বাধা। অপরদিকে, দুর্নীতি এবং দারিদ্র, জাতীয় জীবনের দুটি দুষ্টচক্রের সৃষ্ট সমস্যা। দারিদ্র্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সহায়তা করছে, আবার দুর্নীতির ফলে আমার দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। সর্বোপরি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মানব উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ৭৫ ভাগই রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্রবাদীরা, ও দুর্নীতিবাজরা আত্মসাৎ করছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রণীত রিপোর্টে উঠে এসেছে। সুতরায়, দুর্নীতি, উন্নতির সকল ক্ষেত্রে অভিশাপ হিসেবে বিরাজ করে উন্নতির ক্ষেত্রে মারত্মক অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই, সরকার, মুসলিম রাজনীতিবিদ ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। তবেই এদেশে সোনালি সুদিন ও সুখি ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে।

2 years ago

বাংলা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

                                                                                                                     "একুশের বইমেলা”

"একুশের বইমেলা” নামে পরিচিত "অমর একুশে গ্রন্থমেলা" স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম। ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই প্রতিটি বাঙালির নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ধ্বনিত হয় এই বইমেলা। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বইমেলা দেশের লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মধ্যে সৃষ্টি করে সাহিত্যের সেতু বন্ধন। বইমেলার চিন্তাটি এ দেশে প্রথম মাথায় আসে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক সরদার জয়েন উদ্দিনের। তার প্রচেষ্টায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি) নীচ তলায় ১৯৬৫ সালে একটি শিশু গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হয় যা বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থমেলা। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে তিনি একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। এখান থেকেই বাংলা একাডেমীতে বই মেলার সূচনা। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বইমেলার পরিসর বাড়ছে। মূলত ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটির কথা মাথায় রেখে এ বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা”। ২০১৪ সাল থেকে বই মেলার স্টল সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থানান্তরিত করে। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দেশের খ্যাতনামা সব প্রকাশনী ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এছাড়া মেলা চলাকালিন প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আর ২০১০ সাল থেকে "চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতিপুরষ্কার" (গুণে মানে সেরা বইয়ের জন্য); এছাড়া সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার (স্টল ও অঙ্গসজ্জা) এবং 'পলান সরকার পুরস্কার (সর্বাধিক গ্রন্থক্রয়) প্রদান করা হয়।

                                                                                                           ‘‘বৃক্ষরোপন অভিযান” 

গাছের অস্তিত্ব মানে প্রাণের অস্তিত্ব, প্রাণীর অস্তিত্ব। যে অঞ্চলে যত গাছপালা, সেই অঞ্চল তত বেশি প্রাণবন্ত। গাছ ধৈর্যের প্রতীক, ধীরস্থীর সাধনার প্রতীক, জীবনের স্বার্থকতার প্রতীক। শাস্তি, সহিষ্ণুতা আর প্রশান্তির যে নিরব অভিব্যক্তি তা মানুষের জন্য শিক্ষার যার উন্মোচিত করে। অঙ্গার বাতাসে মিশে থাকে, গাছ তার নিগুঢ় শক্তি বলে শোষণ করে নিজের করে নেয়। গাছপালা মানব জীবন বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছ বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিল্প, চিকিৎসা, বিনোদন, ভ্রমণ, যাতায়াত, অর্থ, কর্মসংস্থান, প্রতিরক্ষা, পরিবেশ প্রতিবেশ সংরক্ষণ, সর্বক্ষেত্রেই গাছের ভূমিকা অপরিসীম। তাই জীবনের প্রয়োজনে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক, জরাব্যাধির নিরাময়ক হিসেবে ভেষজ গাছ-গাছড়ার ব্যবহার সর্বজনবিদিত। আভিজাত্যের পোশাক থেকে অতিসাধারণ পোশাকের যোগান দেয় গাছ। বাসগৃহ, উপাসনালয় থেকে রাজ প্রসাদের সৌন্দর্য আর ঐতিহ্য ধারণ করে গাছ তার জীবনাবসান করে। সুস্বাদু তৃপ্তিকর পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গাছের পাতা বা বীজ। কাঠ দগ্ধ হয়ে কয়লায় পরিণত হয় আমাদের রসনা তৃপ্তিকর উপাদেয় খাবার তৈরিতে। আমাদের অভিজাত আসবাবপত্র থেকে সাধারণ ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় সবই গাছজাত। সভ্যতার মাইলফলক কাগজ ও ঢাকা উৎপাদনের প্রাথমিক উপাদান গাছ। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের অবদান অপরিসীম। পায় কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে পরিণত করে। নদ-নদীর উৎসগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়, ভূমিক্ষয় রোধ করে এবং বন্যার প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা করে গাছ। গ্রীন হাউসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে গাছ। মাটির তলদেশের পানির স্ত র উপরে টেনে সেচযন্ত্রের নাগালে রাখতে সহায়তা করে। তাপ ও প্রবল বাতাস থেকে ফসল, প্রাণী ও জনগণকে রক্ষা করে এবং আশ্রয়দান করে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করে গাছ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ায়, কৃষ্টি জমির গুণাগুণ রক্ষা করে, জমির উর্বরতা সংরক্ষণ করে গাছ। গাছের গুরুত্ব বোঝাতে ও মানুষকে গাছ লাগাতে সচেতন করার জন্য জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রচলন শুরু হয় ১৯৯৪ সাল থেকে। বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তিত করে ১৯৯২ সালে। বাংলাদেশে এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি ৫ জুন বিশ্বপরিবেশ দিবস পালন করে। পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে। আমরা বৃক্ষ সম্পদ বাড়াতে পারি। দেশ ও জাতির স্বার্থে বৃক্ষরোপনকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। গাছের প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। বৃক্ষও মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করার মাধ্যমে আমাদের দেশকে বদলে দিতে হবে। বৃক্ষ নিধন নয় বরং বৃক্ষরোপনই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। আমাদের খুব সৌভাগ্য আমাদের মাতৃভূমির জন্য যে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল তার ইতিহাস হচ্ছে গভীর আত্মত্যাগের ইতিহাস, অবিশ্বাস্য সাহস ও বীরত্বের ইতিহাস এবং বিশাল এক অর্জনের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী “অপারেশন সার্চ লাইট” নামক অভিযানে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সুচনা ঘটে। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার আগে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা। দেন। তাঁর ঘোষণাটি তৎকালীন ই.পি.আর-এর ট্রান্সমিটারে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। যখন ঘোষণাটি প্রচারিত হয় তখন মধ্যরাত পার হয়ে ২৬ মার্চ হয়ে গেছে, তাই আমাদের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ মার্চ। পূর্ব পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে চিরদিনের জন্য মুছে গেল, জন্ম নিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গাল সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং তিনটি ফোর্স গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালি জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

                                                                                                       ‘‘বাংলা নববর্ষ’‘

বাংলা নববর্ষ বাঙালি ঐতিহ্যের একটি বহমান ধারা। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই ধারা অত্যন্ত প্রাচীন। নববর্ষ আর বাঙালির উৎসব আয়োজন যেন এক সুরে বাঁধা। বাদশাহ আকবরের নির্দেশে এবং তার বিজ্ঞ রাজ-জ্যোতিম্বি আমীর ফাতেহ উল্লাহ সিরাজীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মূলত বাংলা সনের উৎপত্তি। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত খ্রীস্টিয় সনের পাশাপাশি সরকারিভাবে বাংলা সন লেখার প্রচলন হয় ১৯৮৮ সালে। পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন তথা বাংলা নববর্ষ। এ দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। মূলত এটি বাঙালির একটি সার্বজনীন উৎসব। সারা বিশ্বের বাঙালিরা এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরে সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ বেশ সমাবেশে সাথে পালন করা হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন “ছায়ানট” বাংলা বর্ষ বরণের আয়োজন শুরু করে। বর্তমানে এ আয়োজনই বাংলা নববর্ষের মূল অনুষ্ঠান। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে তুলে ধরা হয় বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক এবং ব্যবহার করা হয় প্রতী শিল্পকর্ম। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়- বৈশাখি মেলা, হালখাতা ও পুণ্যাহ, আর্মনি, বলি খেলা, লাঠি খেলা, ষাঁড়ের লড়াই, মোড়গ লড়াই, হা-ডু-ডু, নৌকা বাইচ ইত্যাদি। ঢাকায় বাংলা নববর্ষের একটি বিশেষ দিক হলো-পাঞ্জাবি শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং মাটির সানকিতে করে সকালে পান্তা ইলিশ খাওয়া। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির একটি সার্বজনীন উৎসব।

                                                                                ‘‘ভূমিকম্পের ঝঁকিতে বাংলাদেশ –প্রস্তুতি ও করণীয়‘‘

ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) বলে । বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের দুই দিকের ভূ- গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। একটা হচ্ছে উত্তরপূর্ব কোণে সিলেট অঞ্চলে ডাউকি ফল্টে, আরেকটা হচ্ছে পূর্বে চিটাগাং ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি অঞ্চলে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের খুব কাছে ডাউকি ফন্ট এবং ইউরেশিয়া- ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলের অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্পের তীব্রতা বা ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দালানকোঠার নির্মাণ, গঠন, উপাদান, উচ্চতা ইত্যাদির ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় ভূকম্পনের দোলনের ফলে বাড়ি ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভূমিকম্পের সাবধানতা অবলম্বনে ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পকালে এবং ভূমিকম্পের পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং করণীয় পালন করতে হয়।  

১) বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রের ভেতরে ও বাইরে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে আশপাশে কোন ফার্নিচার বা মেশিনপত্র গায়ে পড়ার মত জিনিস না থাকে। 

২) অন্ধকারে দেখার জন্য হাতের কাছে টর্চ রাখতে হবে। 

৩) গ্যাস ও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি নিরাপদে রাখতে হবে এবং এগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং গ্যাস সংযোগে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। 

৪) দেয়ালের ঝুলানো আয়না, ছবি ও সামগ্রি বিছানা থেকে দূরে রাখতে হবে। 

৫) গ্যাস, বিদ্যুৎ যাবতীয় সংযোগ এর চাবি কিভাবে বন্ধ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

৬) প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রি হাতের নিকটে প্রস্তুত রাখতে হবে । 

৭) ভূমিকম্প হওয়ার সময় ড্রপ, কাভার ও হোল্ড অন পদ্ধতিতে মেঝেতে বসে পড়তে হবে এবং মজবুত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিতে হবে এবং হেলমেট পরে বা হাত দিয়ে মাথাকে আঘাত থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে। 

৮) বহুতলা ভবনের ওপরের দিকে অবস্থান করলে ভূমিকম্পের সময় দৌড়াদৌড়ি না করে ভূমিকম্প থামা পর্যন্ত ঘরের ভেতরে থাকাই ভালো এবং ভূকম্প থেমে গেলে সিঁড়ি দিয়ে ধিরে নামতে হবে। কোন ভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না। 

৯) ভূমিকম্পের সময় বাইরে থাকলে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে এবং বহুতল ভবন, পাহাড়-পর্বত থেকে দূরে অবস্থান। করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্রিজ এবং ফ্লাইওভারে যাতে না থামা হয়। 

১০) ভূমিকম্পের পরে নিজে আহত কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে এবং অপরকে সাহায্য করতে হবে। গ্যাস এর গন্ধ বের হলে চেষ্টা করতে হবে জানালা দিয়ে অথবা সুরক্ষিত পথ দিয়ে তারাতাড়ি বের হয়ে যেতে এবং বিদ্যুৎ স্পার্কিত হলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে এবং অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেতে হাতমোজা, জুতা, ফুলশার্ট এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিসহ নামতে হবে যাতে কোন প্রকার আঘাত না লাগে এবং শরীরে যাতে আগুন না লাগে সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

১১) ভূমিকম্পের পরে কোন ভাবেই আগুন জ্বালানো যাবে না। বেশি বিপদে থাকলে বের হতে না পারলে উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকুন এবং বাঁচার আশা ত্যাগ করা যাবে না। ১২) ভূমিকম্প হলে যাবতীয় করণীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখার মানসিকতা থাকতে হবে। 

১৩) ফায়ার সার্ভিসের ফোন নম্বর এবং বিভিন্ন সংগঠনের যাবতীয় যোগাযোগের ব্যবস্থা এবং ফোন নাম্বার রাখতে হবে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...